প্রকাশিত: Thu, Dec 8, 2022 6:49 PM
আপডেট: Sun, Jun 22, 2025 7:08 AM

মেরুদণ্ড সোজা করে রাজনীতি করা শিখুন

পলাশ রহমান: ইসলামী আন্দোলনের নেতা সৈয়দ রেজাউল করীমের একটা বিকৃতি পড়লাম পত্রিকায়। বিএনপি অফিসে পুলিশের হামলা, হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন। মাঝারি সাইজের বিবৃতিটা পড়ে মনে হলো, সৈয়দ সাহেব রাজনৈতিক বিবৃতি দিচ্ছেন না, মিষ্টি পান চর্বণ করছেন। তিনি গোটা বিবৃতি জুড়ে জাতিসংঘের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। কিছু নীতি কথা, সাধু কথা, কেতাবি কথা বলেছেন। কিন্তু দেশ কি এখন আর এসব মিষ্টি কথার পর্যায়ে আছে? কেতাবি কথা শোনার মতো সভ্য সরকার দেশে আছে? দেশের অর্থ ব্যবস্থা ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ সংকটে ভুগছে। দ্রব্যমূল্যের ধকলে মানুষ খাবি খাচ্ছে। গণমানুষের কোনো অধিকার নেই। বিরোধী দলগুলো সভা সমাবেশ করতে চাইলে পুলিশ গুলি করছে। কথায় কথায় চোখ রাঙিয়ে, বন্দুক তুলে কথা বলছে। মনে হচ্ছে দেশে রাজনীতি করতে হলে পুলিশের দয়ায় করতে হবে। আর আপনি মিডা বিবৃতি দিয়ে দায়িত্ব শেষ করছেন। নয়া পল্টনে কী মাত্রায় নারকীয় তাণ্ডব করেছে পুলিশ, তা নিশ্চয়ই আপনি দেখেছেন, এর পরেও এমন মিডা বিবৃতি লিখলেন কী করে? আসলে আপনারা কী চান? আপনারা কি সত্যিই রাজনীতি করেন? নাকি আন্দোলন নামের দোকানের আড়ালে অন্যকিছু আছে? রাজনীতি করলে রাজনীতির মতো করা উচিত। রাজনীতির ভাষায় কথা বলা উচিত।

আপনারা যা করছেন এতে কোনো লাভ এখন পর্যন্ত হয়নি, হবেও না। আপনাদের এই মিডা রাজনীতি না পারবে ইসলামের আদর্শ কায়েম করতে, না পারবে দেশের মানুষের অধিকার আদায় করতে। সুতরাং মেরুদণ্ড সোজা করে রাজনীতি করা শিখুন। না হয় বাদ দেন। অযথা জনশক্তির অপচয় করেবেন না। এখন হয়তো বুঝতে পারছেন না বা বুঝতে চাইছেন না, একদিন এই অপচয়ের দায় আপনাদের নিতে হবে। দেশের গণমানুষের ভাষা বোঝার চেষ্টা করেন। ১০ তারিখ বিএনপির সমাবেশের প্রতি সরাসরি সমর্থন জানান। প্রয়োজনে গণদুশমন সরকারের পতনের লক্ষে দেশের সকল রাজনৈতিক দলের অফিসের সামনে সমাবেশ ডাকুন। গণদুশমন সরকারকে দেখিয়ে দেন, দেশের স্বার্থে, গণমানুষের স্বার্থে সবাই এক। মনে রাখবেন, ঝড়ের সময়েই আম কুড়াতে হয়। নয়তো খালি ছালা নিয়ে ঘরে ফিরতে হয়। সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই। তারা এখন মরণ-কামড় দেওয়ার চেষ্টা করছে। তাদের বিষদাঁত উপড়ে ফেলার এখনই সময়। ফেসবুক থেকে